নিজস্ব প্রতিবেদক : কুলাউড়া এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং মানবাধিকার কর্মী মো. আমিরুল ইসলাম এর উপর ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রাতে প্রকাশ্যে নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এতে কুলাউড়া এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. আমিরুল ইসলাম জয়পাশা রোড হয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় সশস্ত্র একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ একটি বেঞ্চ তার মোটরসাইকেলের সামনে ছুঁড়ে মারলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা চালায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম এর পরিবার প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান শফি আহমেদ সলমান এবং তার খালাতো ভাই রুমেল আহমেদ কে দায়ী করেন। উল্লেখ যে, অনেক দিন ধরেই জনাব আমিরুল এর সাথে উক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে নানান বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, আমিরুল ইসলাম একজন ব্যাবসায়ীর পাশাপাশি একজন পরিবেশবাদী এবং মানবাধিকার কর্মী হিসেবেও কুলাউড়া অঞ্চলে সুপরিচিত। তিনি স্থানীয়ভাবে পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন, মানবাধিকার কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও মানবাধিকার কর্মীরা। এই হামলার ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এলাকার মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়ে একজন সমাজসেবক ও উদ্যোক্তার উপর এমন হামলা অনভিপ্রেত ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এছাড়া জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, কুলাউড়া অঞ্চলের পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মানুষ চায় শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ, কিন্তু প্রশাসনের নির্লিপ্ততা তাদের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এ ব্যাপারে জনাব শফি এবং রুমেল এর ফোন দিলেও তারা কেও ফোন ধরেননি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান ,ঘটনাটির ব্যাপারে তারা জানতে পেরেছেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি।
Leave a Reply