1. iamparves@gmail.com : hostkip :
  2. sokalerdaknews@gmail.com : Sokaler Dak : Sokaler Dak
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন

কুয়েটে হামলার নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা: নাছির

  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুক। ঢাকায় বসে এই হামলার বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ সার্বিক মনিটরিং করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) গেমস রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

নাছির বলেন, বাংলাদেশে যত ছোট বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর মূলে ছিল শর্টসার্কিট। গতকাল সেই কাজটি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন ওমর ফারুক এবং মনিটরিং করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ বিভিন্ন সভা সেমিনারে মানুষকে জ্ঞান দিয়ে বেড়ান, ওয়াজ নসিহত করেন। কিন্তু উপদেষ্টাদের মিটিং-এ তিনি এবং নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন তা আমরা জানতে চাই।

নাছির বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে যারা আত্মপ্রকাশ করতে ভয় পেয়েছে, সেই শিবিরের সন্ত্রাসীরা কাল ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা যদি হামলা না করত এমন সংঘাত কখনোই হতো না৷ তাদের নির্যাতনের মাত্রা এতই বেশি ছিল যে, আহত শিক্ষার্থীরা দোকানে আশ্রয় নিলে দোকানদারদেরও বৈষম্যবিরোধীর কথা মতো শিবির সন্ত্রাসীরা হামলা করে। পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ছাত্রদলের নামে মব সৃষ্টি করা হয়।

ছাত্রদল সেক্রেটারি বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে চাওয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিতে চাওয়া অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মৌলিক অধিকার পরিপন্থী। প্রকাশ্য রাজনীতি করার অধিকার সকলের রয়েছে। কুয়েটে ছাত্রদল প্রকাশ্য রাজনীতি চর্চা করতে চায়।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে যেকোনও ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব। কথিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে গোপন সংগঠন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের আড়ালে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করা হলে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস হবে এবং শুধু বাংলাদেশবিরোধী গোপন নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়বে।

সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, কুয়েটে শিবির ও বৈষম্যবিরোধীর কমিটি আছে, তাহলে ছাত্রদল ফরম বিতরণ করে কি দোষ করেছে? তারাই বিনা কারণে হামলা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে আহ্বায়ক তাকে আমরা শিবিরের নেতা হিসেবে জানি। তারা যদি রাজনীতি করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না? আমরা এখনো এক এবং ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা বজায় রাখতে চাই। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে না বলে প্রচার চালায়। যখন তারা ব্যর্থ হয়, তখন তারা শিবির হিসেবে অপপ্রচার চালায়।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি দেখিয়ে এ রাজু ভাস্কর্যে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে তারাই শিবির নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এত বোকা না। এভাবে যারা গোপনীয়ভাবে রাজনীতি করতে না পারে, সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিবিরকে দায়ী করছি।

সকালের ডাক/তারু/ঢাবি প্রতিনিধি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সকল স্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ | দৈনিক সকালের ডাক
কারিগরি সহায়তায় হোস্টকিপ টেকনোলজি