মোঃ মুসলেহ উদ্দিন: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অবৈধ মাদক কার্যক্রমের বিস্তার এখন কমিউনিটির জন্য একটি গুরুতর হুমকিতে পরিণত হয়েছে। মাদকের অবাধ প্রবাহ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা যুবসমাজের ভবিষ্যৎ ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরলেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো: সুয়েব আহমদ এবং বড়লেখা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) ইয়ারদুস হাসান এই মাদক চক্রের মূল হোতা হিসেবে কাজ করছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, তারা রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে মাদক ব্যবসাকে সুরক্ষা প্রদান করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা বিকশিত হয়েছে, যা এলাকায় মাদক-সম্পর্কিত অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। এর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে যুবসমাজের উপর, যারা মাদকাসক্তি ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকা নতুন কিছু নয়। গত ৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে পুলিশ কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাস এবং ওসি লিয়াকত আলী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খানকে খানকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে সংঘটিত হয়েছিল। পরবর্তীতে জানা যায় যে, তারা মাদক উদ্ধার অভিযানের নামে সাজানো গুলি বিনিময়ের নাটক করেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, “তরুণ ও যুবসমাজ আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে মাদক ঢুকিয়ে ধ্বংসের জন্য আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ওসি একযোগে কাজ করছেন।”
এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই মাদক নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছেন। তারা যুবসমাজকে রক্ষা এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
Leave a Reply