1. iamparves@gmail.com : hostkip :
  2. sokalerdaknews@gmail.com : Sokaler Dak : Sokaler Dak
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
Flash News :
চরফ্যাশনে নদী ভাঙন রোধে এডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার আবেদনে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ চরফ্যাসন কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থীদের দোয়া অনুষ্ঠান দুই মাস পানিবন্দি চল্লিশ পরিবার, দেখার কেউ নেই পাঙ্গাসিয়া ব্রিজের নির্মাণ বন্ধ থাকায় লাখো মানুষের ভোগান্তি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মনপুরায় কেন্দ্রীয় যুবদল সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম নয়নের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ফ্যাসিবাদ বিরোধী লাগাতার আন্দোলনে তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়েছেন: নুরুল ইসলাম নয়ন চরফ্যাশনে কেন্দ্রীয় যুবদল সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম নয়নের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় চরফ্যাশনে ঘুর্ণিঝড় শক্তির আঘাতে পানিবন্দি মানুষ, বিধ্বস্ত বাড়িঘর বাউফলে ২৫ লাখ টাকাসহ গাঁজা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার যুবদলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী নয়নের সাথে চরফ্যাশন আদালতের এডিশনাল জিপি ও পিপির সাক্ষাৎ

১৩১ পিএইচডি ও ৭৫ জন এমফিল ডিগ্রিধারীকে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সংবর্ধনা

  • আপডেট : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৭ বার দেখা হয়েছে
১৩১ পিএইচডি ও ৭৫ জন এমফিল ডিগ্রিধারীকে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সংবর্ধনা

বিজাতীয় চেতনাধারী ছায়ানট, উদীচীরা যে সমাজ তৈরি করছে সেটি ভাঙতে দেশের নতুন জেনারেশনের চিন্তা-চেতনা বুঝতে হবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন। কীভাবে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটল তা আমাদের সবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যারা মাদরাসা থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদেরকে অবশ্যই বর্তমান জেনারেশনকে বুঝতে হবে, তাদের (নতুন জেনারেশন) চিন্তা-চেতনা কী এগুলো জানতে হবে। এগুলো নিয়ে পড়াশুনা, গবেষণা করতে হবে। মাদরাসার নিজস্ব ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে গবেষণা করতে হবে। আগামী দিনের সমাজের রূপরেখা কী রকম হবে সেটি আপনারা তৈরি করেন। ছায়ানট, উদীচী তারা যে সমাজ তৈরি করেছে, ভাবনা তৈরি করেছে সেটি ভাঙার জাতির জন্য তো নতুন ভাবধারা হাজির করতে হবে। দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করলে আগামী দিনে আলেম-ওলামাদের জন্য বড় সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের মাদরাসা অঙ্গনের ২০৬ জন পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রিধারী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একমাত্র অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের দেয়া এই বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, সবারই রাজনৈতিক মত, দর্শন ও বিশ্বাস থাকতে পারে। তবে দলীয় ভিত্তিতে প্রশাসন সাজিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ, সরকারি পদ সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার চিন্তা বেমানান। এভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় কেউ আসতে পারবে না। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা যদি ভিন্ন না থাকে তাহলে মানুষের জানামতে আগামী দিনে কারা ক্ষমতায় আসবেন আমরা সকলে বুঝি। তাই একজন সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি এই সময়ে রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত হয়ে যান তাহলে তার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তিনি বলেন, আমরা যে সমাজ চাই, যে সমাজের স্বপ্ন দেখি আগামী দিনে বাংলাদেশে সে রকম সমাজ হবে। ছায়ানট, উদীচী বা ৫৪ বছরের ভারতের হিন্দু সাংস্কৃতি আদলে যে সমাজ গড়ার চেষ্টা হয়েছিল সেরকম কিছুই থাকবে না, টিকবে না। তবে এর জন্য আমাদের আরো লড়াই করতে হবে, লড়াই করেই আমরা বিজয়ী হবো।

ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে নারীদের ভ‚মিকার কথা তুলে ধরে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, নারীরা এই সমাজের ৫০ শতাংশ। যোগ্যতা অনুযায়ী তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, সম্মান দিতে হবে। তবে তাদের যোগ্যতার বলে আসতে হবে, কোটার বলে না। তিনি বলেন, সমাজ গঠনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে মায়েদের। একজন মা যদি শক্তিশালী, ঈমানদার না হন, তাহলে রাষ্ট্রের সম্পদ বাড়িয়েও কোনো কাজ হবে না। কারণ প্রতিটি সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মুখ্য ভ‚মিকা পালন করেন একেকজন মা। শিক্ষিত হওয়া আর সুশিক্ষিত মানুষ হওয়া এক জিনিস নয়।

জমিয়াত সভাপতি বলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছেন, নির্মোহভাবে কাজ করছেন। তবে উনি সরকারে এসেছেন সীমিত সময়ের জন্য। ২০২৫ বা এর পরে যখনই নির্বাচন দেবে তখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার থাকবে উনি থাকবেন। সেই পর্যন্ত দেশ যাতে ভালো থাকে সেটার জন্য আমাদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগামীতে যাতে আমরা নারী-পুরুষ সকলে মিলে নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারি। আমাদের এখন সেটিই চাওয়া।

মাদরাসার ডিগ্রিধারীদের উদ্দেশে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, যারা মাদরাসা থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদেরকে অবশ্যই বর্তমান জেনারেশনের মনন বুঝতে হবে। তাদের (নতুন জেনারেশন) চিন্তা-চেনতা কী এগুলো অনুধাবন করতে হবে। এগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, বুঝতে হবে গবেষণা করতে হবে। মাদরাসার নিজস্ব ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে গবেষণা করতে হবে। আগামী দিনের সমাজের রূপরেখা কীরকম হবে সেটি আপনারা তৈরি করেন। ছায়ানট, উদীচীরা ভিনদেশি চেতনায় যে সমাজ তৈরি করেছে, ভাবনা তৈরি করেছে সেটি ভাঙার জন্য তো নতুন ভাবধারা দিতে হবে। আমরা সেটি দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।

দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করলে আগামী দিনে আলেম-ওলামাদের জন্য বড় সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে মন্তব্য করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন হয়েছে। সংবিধান সংস্কার বা নতুন সংবিধান হয়তো হবে। আগামী নির্বাচনের পর হয়তো দ্বিকক্ষ-বিশিষ্ট পার্লামেন্ট হবে। সেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সুযোগ থাকবে। সেখানে আলেম-ওলামাদের যাতে সম্মাজনক সংখ্যায় অংশগ্রহণ ও উপস্থিতি থাকে, তার জন্য এখন থেকে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। পার্লামেন্টে নেতৃত্ব দেয়ার মতো দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। জ্ঞানী লোকদের যেন তুলে ধরা যায়, সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যেন আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা জায়গা করে নিতে পারে সেরকম অবস্থান তৈরি করতে হবে। এছাড়া মাদরাসায় ছাত্র-ছাত্রী কিভাবে বাড়ানো যায় সেভাবে কাজ করতেও আহŸান জানান তিনি।

মাদরাসা শিক্ষকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন জমিয়াতের সভাপতি বলেন, আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা এখনই সমাজ বোঝার চেষ্টা করছেন। এটি আমাদের কাছ থেকেই বোঝার চেষ্টা করবেন। দ্বারে দ্বারে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে যাবে না। কোনো রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে অতীতে কোনো কাজে আসেনি, আগামীতেও আসবে না। ইসলামের জন্য কাজ করেন। বাংলাদেশ শক্তিশালী হতে পারবে একটি শক্তিশালী ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র এই পরিচয়ে। অন্য কোনো পরিচয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে বড় কোনো অবস্থান নিতে পারবে না। বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ সম্পদশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম বলেন, আলেমদের মধ্যে এত ডক্টরেট ডিগ্রিধারী একসাথে একত্রিত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। এর আগে কখনো এমনটি হয়নি।

ডিগ্রিধারীদের উদ্দেশে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, অনেক শ্রমের ফল হলো একটি ডিগ্রি। তবে এসব ডিগ্রি এবং গবেষণা যাতে দ্বীনের জন্য কাজে আসে এটি মাথায় রাখতে হবে। এমন বিষয়ে মাঝে মাঝে গবেষণা করা হয় যেটি নিয়ে হাসাহাসি হয়; বরং যুগের চাহিদা, উম্মাহর চাহিদার প্রতি দৃষ্টি রেখে সেসব বিষয়ের ওপর গবেষণা করেন, ডিগ্রি অর্জন করেন। আপনাদের গবেষণা, প্রবন্ধ, লেখা যাতে প্রত্যেক মানুষকে আকৃষ্ট করে।

প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম বলেন, ইসলামের অনেকগুলো বিষয় নিয়ে গবষেণার সুযোগ আছে। ইসলাম বিশাল এক জগৎ। শুধু গবেষণা নিজেরা করবেন না, শিক্ষার্থীদের গবেষণা করতে শেখাবেন। গবেষণা ছাড়া পৃথিবীর কোনো জাতি উন্নত হতে পারেনি। ইউরোপ-আমেরিকা বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে এর অন্যতম কারণ গবেষণা। প্রতি বছর যে নোবেল দেয়া হয় তা উন্নত বিশ্বের লোকেরা পায়। কারণ তারা প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন। এ জন্য গবেষণা ও চিন্তা দরকার। শুধু ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার জন্য কিংবা মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে নামের আগে ডক্টরেট বসানোর জন্য যাতে ডিগ্রি অর্জন না হয়। গবেষণা এমন বিষয়ে করেন, এমন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন যা উম্মাহর জন্য, দ্বীনের জন্য কাজে লাগবে।

আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, মাদরাসার জন্য কাজ করা আমাদের শুধু চাকরি না, এটি দ্বীনি দায়িত্ব। এটি ঈমানের অপরিহার্য দায়িত্ব। তাই সবাইকে সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এই দায়িত্ব পালনে সবসময় সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে এবং পাশে থাকবে।

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. শাহনওয়াজ দিলরুবা খান, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম আবুবকর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সৈয়দ শরাফত আলী, মাওলানা আব্দুল লতিফ শেখ, অধ্যক্ষ মাওলানা মনোয়ার আলী, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মোর্শেদ আলম ছালেহী, অধ্যক্ষ মাওলানা এজহারুল হক, ড. মাওলানা ইদ্রিস খান, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আব্দুল বাতেন, ড. মাওলানা ইবরাহীম আনোয়ারী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যক্ষ মাওলানা কাযী আবুল বয়ান হাশেমী, জৈনপুর পীর সাহেব আ ন ম মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আহমদ উল্লাহ, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল-মারুফ, অধ্যক্ষ মাওলানা রূহুল আমীন আফসারী, অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মো. ছাদেক হাসান, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুঈনুল ইসলাম পারভেজ, অধ্যক্ষ মাওলানা আক্তারুজ্জামানসহ দেশের আলিয়া মাদরাসা অঙ্গনের পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রিধারীগণ এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ। ইনকিলাব

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সকল স্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ | দৈনিক সকালের ডাক
কারিগরি সহায়তায় হোস্টকিপ টেকনোলজি