1. iamparves@gmail.com : hostkip :
  2. sokalerdaknews@gmail.com : Sokaler Dak : Sokaler Dak
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

প্রকাশিত ভিডিও নিয়ে চরফ্যাশন প্রেসক্লাব সম্পাদকের ভিন্নমত

  • আপডেট : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:
গত কয়েকদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক) চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দুলালকে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে তার প্রতিবাদ সহ মূল ঘটনা তুলে ধরেছেন শহিদুল ইসলাম দুলাল । শনিবার (১৭ মে) চরফ্যাশন শহরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ  সম্মেলনে তিনি দাবি করেন,  একটি কুচক্রি মহল তাকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কু-চক্রিমহলটি তার পারিবারিক বিরোধকে পুজি করে এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম দুলাল প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে বলেন,  আমার আপন বড় দুই ভাই নুরনবী সেন্টু ও হাজী ডাঃ আলমগীরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন ১৪ মে রোজঃ বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় ডাঃ আলমগীরের পুকুরের ঘাট সংলগ্ন ওয়াল সংস্কার করতে গেলে বড় ভাই নুরনবী সেন্টু ও তার ছেলে সাবেক কমিশনার ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা তরিকুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে মিলনের ছোট ভাই মন্টু, মঞ্জু ও ফারুক সহ ৫/৭ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাঃ আলমগীরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তার ডাক চিৎকারে স্ত্রী হাজী নারগিস বেগম এগিয়ে আসলে তাকে গাছে বেধে মারধর করে। হামলাকারীরা হাজী ডাঃ আলমগীর ও তার স্ত্রী নারগিসকে মারধর করে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে যায়। যাওয়ার সময় নারগিসের গলায় থাকা ১ ভরি ১০ আনা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তাদের উদ্ধারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে। তাদের হামলায় আহতরা হলেন মাইসা, সুমাইয়া, মাহমুদা, কালু, আরিফ। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আহত আলমগীর ও স্ত্রী নারগিস-কে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রেসক্লাব সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দুলাল বলেন,
ঘটনা চলাকালীন উপজেলা বি.এনপির সাবেক সেক্রেটারী মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া সহ আমি চরফ্যাশন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে নেতাকর্মীদের সাথে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় আমার ভগ্নিপতি সানাউল্লাহ মারামারির বিষয়টি আমাকে মোবাইলে জানায়। ভগ্নিপতির কাছে ঘটনাটি শুনে চরফ্যাশন থানায় ওসি মিজানুর রহমান-কে বিষয়টি অবগত করি। চরফ্যাশন থানার এস.আই মনির ঘটনাস্থল তদন্ত করে চরফ্যাশন হাসপাতালে গিয়ে আহত আলমগীর ও নারগিসকে দেখতে যায়।
শহিদুল ইসলাম দুলাল আরো জানান, তাদের চিকিৎসার খোজ খবর নিতে হাসপাতালের প্রবেশ মুখে পৌছা মাত্রই হামলাকারী মঞ্জু, ফারুক সহ সন্ত্রাসী দল আমাকে গালমন্দ করে। এরপর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে গেলে ফারুক আবার গালমন্দ করে। যার কারণে উপস্থিত জনতার রোষানলে পড়ে হাসপাতালে অনাকাঙ্খিত ঘটনা সূত্রপাত হয়। তারা পরিকল্পিতভাবে ঝামেলা বাজিয়ে তার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে হেয়  করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আমার এখানে এই ভূমিতে কোন সম্পত্তি নেই এবং দাবিও করি না।
আহত ডাঃ আলমগীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বড় ভাই নুরনবী সেন্টু থেকে তজুমদ্দিন চাকুরী করা অবস্থায় আমার কাছে জমি বিক্রি করার প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হই। আমি টাকা দিলে সেই আমাকে জমিগুলো দলিল করে দিয়েছে। মৌজা: উত্তর মাদ্রাজ, জে.এল নং-৮৪, খতিয়ান নং-২৪৫, এস এ দাগ নং-৩৯৭, ৩৯৪, ৪১০,৪১১, ৪১২, দিয়ারা দাগ নং-৮৭২, ৮৭৩, জমির পরিমাণ: ৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। কিন্তু নুরনবী সেন্টুর কাছে জমি দাবি করলে সে আমাকে প্রায় সময় প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। কারণ তার চারটি ছেলে মিলন, মন্টু, ফারুক ও মঞ্জু আওয়ামী গডফাদার, তার লালিত চার ভাই সব সময় আমাকে মারধর করার চেষ্টা করেন। আমি ১৭ বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা চরফ্যাশন থানা প্রশাসনের কাছে গেলেও  মিলনের ভয়েতে কেউই বিচার করেননি এবং সমাধান দেননি।  আমি বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছি। আমি এর বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সকল স্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ | দৈনিক সকালের ডাক
কারিগরি সহায়তায় হোস্টকিপ টেকনোলজি