হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস পর অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) নতুন গঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গঠিত কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে। তাদের অধীনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে গত জানুয়ারিতে সেই নির্বাচনে জিতে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তার আট মাসের মাথায় গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।
হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নতুন কমিশনে কমিশনার হিসেবে থাকছেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।
দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক সচিব নাসির উদ্দীনকে অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল। এবার তাকে দেওয়া হলো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নাসির উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করে তিনি পেশাজীবন শুরু করেন শিক্ষক হিসেবে।
জানা গেছে, সিইসি হিসেবে বিএনপি যে দুজনের নাম প্রস্তাব করেছিল তার মধ্যে এএমএম নাসির উদ্দীনের নাম ছিল। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান এএমএম নাসির উদ্দীন। তিনি বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
সকালের ডাক/তারু/সোহো
Leave a Reply