1. iamparves@gmail.com : hostkip :
  2. sokalerdaknews@gmail.com : Sokaler Dak : Sokaler Dak
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

আদানির বিদ্যুৎ আমদানি, চুক্তির পদে পদে অনিয়ম!

  • আপডেট : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৩২ বার দেখা হয়েছে

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে করমুক্ত আমদানি নীতি, কয়লার দাম বাড়ানো, বিলম্বিত বিল পরিশোধে অতিরিক্ত সুদ আরোপ এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী— চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রুটে আসা বিদ্যুৎ শুল্ক স্টেশন না হওয়া।

২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সম্পূর্ণ আমদানি করা কয়লায় চালিত এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি ২০১৯ সালের মার্চে ভারত সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় নিয়ে করছাড় দেয়। তবে চুক্তির সময় এই বিষয়টি গোপন রাখে আদানি গ্রুপ।

পায়রা, রামপাল ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার হওয়া কয়লার দাম টনপ্রতি ৭৫-৮০ ডলার হলেও আদানি গ্রুপ ৯৬ ডলার দরে কয়লা নিয়েছে। পিডিবি দাম নিয়ে আপত্তি জানালে আদানি গ্রুপ দাম কমাতে রাজি হয়।

২০১০ সালে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করার সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক-কর অব্যাহতির আদেশ দিয়েছিল, তবে আদানি গ্রুপের ক্ষেত্রে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এনবিআর।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, পিডিবি যথাযথভাবে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত হয়নি। চুক্তির প্রতিটি ধারা ও উপধারা প্রকাশ করা উচিত।

শুল্ক গোয়েন্দা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর দিয়ে আদানির বিদ্যুৎ আসলেও তা কোনো শুল্ক স্টেশন নয়। আদানি গ্রুপের চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর মওকুফের আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন পিডিবির দায়িত্ব। পরবর্তীতে শুল্ক-করের প্রসঙ্গ এলে তা পরিশোধের দায়ও পিডিবির উপর বর্তাবে।

এছাড়া, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে বিলম্বের জন্য আদানির চুক্তিতে ১৫ শতাংশ সুদ ধার্য করা হয়েছে, যা পায়রায় নেই। এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম ২২ শতাংশ বাড়ানোর জন্য নতুন করে দাবি তুলেছে আদানি। এছাড়া, বকেয়া বিল পরিশোধের চাপও বাড়ছে।

এদিকে, ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা সব বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সকল স্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ | দৈনিক সকালের ডাক
কারিগরি সহায়তায় হোস্টকিপ টেকনোলজি