শিক্ষা ডেস্ক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( শাবিপ্রবি) উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে উপাচার্য সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর কাছে এ স্মারকলিপি দেন তারা।
স্মারকলিপিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো-
১. সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিশেষ সুবিধায় ১০ মার্ক পার্থক্য নিয়ম নীতি ২০২৩ সাল থেকে চালু করা হয়েছে, যা আমাদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার স্বপ্ন পূরণ করার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাই এই নিয়ম বাতিল করে পূর্ববর্তী নিয়ম চালু করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিকূলতা (আর্থিক, সামাজিক) সম্মুখীন হয়। এসব প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন হলে সংরক্ষিত রুম অথবা সিট বরাদ্ধ রাখতে হবে।
৩. সিলেটের চা শ্রমিক শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে এজন্য বিশেষ সুবিধার নীতি তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এ সুবিধা প্রয়োগ করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
এ স্মারকলিপিতে উপাচার্যের কাছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীরা নিজেদের নানা বৈষম্যের কথা ব্যাখ্যা করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। তাই জাতীয় জীবনে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খাতে বৈষম্যের শিকার। তেমনি দেশের প্রতিবন্ধী এবং সিলেটে অবস্থানরত চা শ্রমিকদের সন্তানেরাও এই বৈষম্যের শিকার। প্রতিবন্ধীরা আর্থিক এবং সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হয়।
সিলেটের চা শ্রমিকদের জনজীবন অত্যন্ত কঠিন। নামমাত্র পারিশ্রমিক আয় দিয়ে তারা জীবনযাপন করছে। দেশের অন্যতম সুবিধাবঞ্চিত এ চা শ্রমিকরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নানা খাতে পিছিয়ে আছে। দেশের এ জনগোষ্ঠীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে আনার জন্য এবং বৈষম্যহীন সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে আপনি দ্রুত পদক্ষেপ এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় সুবিধা-বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুধীর খীসা, ফুড ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ তঞ্চঙ্গা, সিভিল অ্যান্ড এনভারনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী মং হ্লা মং মারমা, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়ে কি প্রু মারমা ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী নাইনাইউ রাখাইন।
Leave a Reply