1. iamparves@gmail.com : hostkip :
  2. sokalerdaknews@gmail.com : Sokaler Dak : Sokaler Dak
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

শিশুর গোসলে যা করবেন

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৫৩ বার দেখা হয়েছে

শীতের দিনে প্রতিদিন গোসল করালে যেমন ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে, আবার না করালে শিশুর শরীরে ঘাম জমে। ঘাম থেকে দুর্গন্ধ, চুলকানি, ফুসকুড়ি, ত্বকে শুষ্কতা ও খসখসে ভাব এমনকি বিভিন্ন চর্মরোগও হতে পারে।

শিশুর যদি অন্য কোনো সমস্যা না থাকে, তবে তাকে নিয়মিত গোসলে কোনো বাধা নেই। গোসলের কারণে শিশুর ত্বকের কোমলতা বাড়ে, ত্বক আর্দ্র থাকে।
গোসলের ফলে ত্বকের ময়লাও দূর হয়। অনেকেই শীতে শিশুকে নিয়মিত গোসল করান না। এতে শিশুর ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে। এর মধ্যে পুঁজও জমতে পারে।

শিশু জন্ম নেওয়ার পর তিন দিন পর্যন্ত গোসল না করানো উচিত। এরপর প্রতিদিন গোসলে কোনো সমস্যা নেই। তবে নবজাতকদের শূন্য থেকে এক মাস পর্যন্ত সপ্তাহে দুদিন গোসল করানো উচিত। এক মাস বয়স থেকে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানো ভালো। গোসলের আগে শিশুকে কিছুক্ষণ রোদে রাখা ভালো।

শীতে শিশুর গোসলের পানির তাপমাত্রা সহনীয় ও আরামদায়ক হতে হবে। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ও পানির তাপমাত্রা সমান রাখতে হবে। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের লোমকূপের মুখ খুলে যায়। ত্বকের টক্সিক উপাদান, মৃতকোষ দূর হয়। পাত্রে পানি নিয়ে রোদে রেখে দিয়ে উষ্ণতা আনতে পারেন।

বড়দের সাবান ও শ্যাম্পু শিশুর বেলায় ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে ক্ষারীয় উপাদান বেশি থাকে। শিশুদের জন্য বাজারে বেবি সোপ ও মাইল্ড শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এতে ক্ষারের পরিমাণ অনেক কম থাকে। এগুলো শিশুদের ত্বকে বেশি উপযোগী। তাই শিশুর গোসলে বেবি সোপ ও মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় গ্লিসারিনযুক্ত সাবান দিয়ে গোসল করানো। এক দিন পর পর সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। এতে শিশুর গায়ে ও চুলে ময়লা জমবে না।

শীতে বাতাসের আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। এতে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। খসখসে ভাব দেখা যায়। এজন্য শিশুর ত্বক আর্দ্র রাখতে হবে। গোসল শেষে নরম তোয়ালে দিয়ে শিশুর শরীর মুছে দিতে হবে। এরপর ত্বক আর্দ্র থাকতেই গায়ে লোশন মাখিয়ে দিতে হবে। এতে শীতের শুষ্কতা থেকে রেহাই পাবে সোনামণিদের ত্বক। এরপর দ্রুত শিশুকে শীতের পোশাক পরাতে হবে।

শিশুর ঠাণ্ডা লেগে থাকা, নিউমোনিয়ার লক্ষণ, নাক দিয়ে পানি পড়া, অল্প ওজন নিয়ে জন্মানো—এমন সমস্যা থাকলে প্রতিদিন গোসল করানো উচিত নয়। যেদিন খুব বেশি কুয়াশা বা ঠান্ডার প্রকোপ থাকে সেদিন শিশুদের গোসলের পানি উষ্ণ গরম করে নিয়ে কম সময়ে গোসল করিয়ে ফেলতে হবে। বাথরুম সাধারণত একটু বেশি ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। তাই শিশুকে এখানে গোসল না করিয়ে বারান্দায় বাথটাবে বা গামলায় গোসল করাতে হবে।

গোসলের সময় শিশুর কানে যাতে পানি না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খুব বেশি শীতে গোসল না করিয়ে গরম পানিতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দিতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সকল স্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ | দৈনিক সকালের ডাক
কারিগরি সহায়তায় হোস্টকিপ টেকনোলজি