নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে, মৌলভীবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শহীদ মিনারে পুলিশের ব্যারিকেডকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। প্রটোকল অনুযায়ী মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ডাঃ উর্মি বিনতে সালাম ও পুলিশ সুপার মনজুর রহমান প্রথমে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদ মিনার এলাকায় ব্যাপক জনসমাগম থাকায় পুলিশ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে ব্যারিকেড দেয়।
এলাকায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী জড়ো হন। এক পর্যায়ে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যারিকেড উঠানোর আহ্বান জানান। তবে অফিসাররা ব্যারিকেড না উঠলে তিনি পুলিশের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেদ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে আটক করে আরও তদন্ত শুরু করেছে। অন্যান্য সন্দেহ ভাজনদের মধ্যে প্লেয়ার এসোসিয়েশন অফ ৬নং একাটুনা ক্লাবের টীম লিডার মোঃ গোলাম কিবরিয়া উজ্জল ও অন্যান্য সদস্যগণের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে জেলা আওয়ামীলীগ এই ঘটনার জন্য বিরোধী দল ও প্লেয়ার এসোসিয়েশন অফ ৬নং একাটুনা ক্লাবের টীম লিডার মোঃ গোলাম কিবরিয়া উজ্জল ও অন্যান্য সদস্যগণকে অভিযুক্ত করেছেন।
জেলা আওয়ামীলীগ এর একজন মুখপাত্র নাম না প্রকাশের শর্তে আমাদের প্রতিবেদককে জানান যে, আসলে প্লেয়ার এসোসিয়েশন অফ ৬নং একাটুনা ক্লাবের টীম লিডার মোঃ গোলাম কিবরিয়া উজ্জল ও অন্যান্য সদস্যগণ এর পেছনে জড়িত। আওয়ামীলীগের সাথে আগে থেকেই ক্লাব মেম্বারদের সম্পর্ক খারাপ ছিল। পূর্ববর্তী একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন যে, একাটুনা ক্লাবের নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়ার ঘটনার পেছনেও, এই ক্লাবের সদস্যগণই জড়িত ছিলেন। উজ্জল ও তার ক্লাবের অন্যান্য সদস্যগণ বিরোধী দলের লোকদের সাথে মিলে পুলিশকে আক্রমণ করে, তাদেরকে আহত করেছে। মুখপাত্র আরো জানান, আসলে প্লেয়ার এসোসিয়েশন অফ ৬নং একাটুনা ক্লাবটি সরকার বিরোধীদের দ্বারা পরিচালিত একটি সংঘটন, তাই নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তির সংকট সৃষ্টি করে, দেশে অরাজগতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তবে প্লেয়ার এসোসিয়েশন অফ ৬নং একাটুনা ক্লাবের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়। তবে স্থানীয় জনগণ এই ব্যাপারে প্রতিবেদককে জানায়, তারা প্লেয়ার এসোসিয়েশন অফ ৬নং একাটুনা ক্লাবের টীম লিডার উজ্জল ও অন্যান্য সদস্যগণকে ভালো হিসাবেই জানেন। তারা আরো জানান, একাটুনা ক্লাবের অনেক সমাজসেবামূলক কাজ রয়েছে, যার দ্বারা স্থানীয় দরিদ্র জনগণ অনেক উপকার পাচ্ছেন।
Leave a Reply