লেখক: মনজুর আহমেদ, যুব প্রতিবেদক, জেলা প্রতিবেদক মোহাম্মদ আসাদের তত্ত্বাবধানে: ০৬ নভেম্বর ২০২১-এ বিশ্ব-বিখ্যাত ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিন “বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আক্রমণের মুখে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার নিজের দেশে হিন্দু-ঘটানোর জন্য ভারতের মুসলিম-ব্যাশিংকে দায়ী করেছেন” শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোনো সংবাদ সাধারণত অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করে। কিন্তু, এই নিবন্ধটি কেবল সমালোচনাই আকর্ষণ করে। একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি আমার দেশ এবং আমার প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করতে চাই। কিন্তু, হায় সব সমালোচনাই সত্য।
বাংলাদেশে ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ৩৬০০ টিরও বেশি আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে। এই আক্রমণগুলির পিছনে প্রধান অপরাধীদের রাজনৈতিক সুবিধাবাদ এবং অর্থনৈতিক সুবিধার এজেন্ডা রয়েছে। তারা হিন্দু বা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস দ্বারা অনুপ্রাণিত না। কিন্তু, অপরাধমূলকতা দ্বারা সঠিকভাবে তদন্ত না করে ক্ষমতাসীন দল হামলার জন্য বিরোধীদের দোষারোপ করছে অন্যদিকে বিরোধীরা এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলকে প্রান্তিক করতে সরকারকে দায়ী করছে।
মাঠ পর্যায়ে তদন্তে এটা স্পষ্ট যে, ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত এবং সরকার চোখ বন্ধ করার প্রবণতা দেখিয়েছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো একমত যে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষায় সরকার গাফিলতি করছে।
মানবাধিকার প্রতিবেদনগুলি দেখায় যে, অনেক ক্ষেত্রে, সরকার সংখ্যালঘুদের উপর প্রতিটি আক্রমণের পরে দায়ের করা মামলাগুলি হারায়। কারণ, আইনটি অপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে বিরোধী সদস্যদের গ্রেফতার করার জন্য তৈরী করা হয়েছে।
হাজার বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমৃদ্ধ ও কালজয়ী ঐতিহ্য। কিন্তু, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ব্যর্থতা হাজার বছরের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম কলঙ্কিত করেছে।
Leave a Reply