কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, ‘ক্যাম্পের ভেতরে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এ সহিংসতা রোধে ও রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে, ভবিষ্যতে সেখানে আরও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে।’
সাদ হাম্মাদি বলেন, ‘এসবের মধ্যে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের সুরক্ষায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।’
ওই ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে সহিংসতার বিষয়ে এখনই নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের দুটি গ্রুপের মধ্যে চলা সংঘাতে এ পর্যন্ত নারীসহ আট জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক রোহিঙ্গা। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেড় শতাধিক। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি বাসিন্দাও রয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করলেও, তাদের বর্তমান নিরাপত্তাহীনতার অবসান হবে না। এটি টেকসই সমাধান আনবে না। এর পরিবর্তে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে থেকে, তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো জানতে হবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তাদের মতামত নেয়ার পাশাপাশি এ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’
Leave a Reply